পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজেট পাস হওয়ার পর পরই মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে। কারণ এর আগেই গত বছর সরকারি অর্থায়নে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ২৯ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২৯ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ করোনা মহামারির মধ্যেও সড়ক খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৬৮ কোটি টাকা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে সাইনসংকেত ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমানে ঢাকা-উত্তরবঙ্গের পথে মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে। ঢাকা-সলেট মহাসড়কও চারলেনে উন্নীত করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এজন্য বরাদ্দও রাখা হয়েছে। আগামী মাসেই এর কাজ শুরু করা হতে পারে।
সওজের তথ্যমতে, ঢাকা-সিলেট রুটে ২১৪ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা ছাড়াও উভয় পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পুরো চার লেনের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সরলীকরণ করা হবে, যাতে ৮০ কিলোমিটার গতিতে যান চলাচল করতে পারে। এছাড়া প্রকল্পটির আওতায় ৩২১টি কালভার্ট, ৭০টি ছোট-মাঝারি সেতু, পাঁচটি রেল ওভারপাস, চারটি ফ্লাইওভার, ১০টি আন্ডারপাস ও ৪২টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
চার লেন নির্মাণ ব্যয় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭ সালে প্রকল্পটির জন্য সাধারণ ও সাইট ফেসিলিটি অংশের জন্য ব্যয় ধরা হয় ২০৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, মাটির কাজে ১ হাজার ৪০৩ কোটি ৪১ লাখ, পেভমেন্ট ওয়ার্কে ৪ হাজার ৫১২ কোটি ৫০ লাখ, ফাউন্ডেশন ওয়ার্কে ৮৪৭ কোটি ৩৯ লাখ, অবকাঠামো খাতে ২ হাজার ১৩৪ কোটি ৭৫ লাখ, অন্যান্য খাতে ৪৯৫ কোটি ২২ লাখ ডে-ওয়ার্ক খাতে ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এখান থেকে সেলভেজ সামগ্রী বিক্রি বাবদ অর্থ বাদ ও ১০ শতাংশ কন্টিনজেন্সি যোগ করে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার ৩৭০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের হিসাবে দেখানো হয়েছে, সাধারণ ও সাইট ফ্যাসিলিটি অংশের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫৫৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এছাড়া ৪৭ গাড়ি ও ৩৭ মোটরসাইকেলসহ সম্পদ সংগ্রহ খাতে ৩৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, মাটির কাজে ১ হাজার ৩৫০ কোটি তিন লাখ, পেভমেন্ট ওয়ার্কে ৪ হাজার ১৩৭ কোটি, অবকাঠামো খাতে ২ হাজার ৯৫০ কোটি ৭৫ লাখ এবং অন্যান্য ডে-ওয়ার্ক খাতে ৬৫৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। আর ব্যয় সমন্বয় ধরা হয় ১ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ১০ শতাংশ বা ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা কন্টিনজেন্সি। এতে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ১২ হাজার ৬১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সওজ সূত্র জানায়, পরিকল্পনা আগেরটাই থাকছে। নতুন করে টাকার অঙ্ক কিছু বাড়বে।
এর আগে জিটুজি ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট চার লেন নির্মাণে চায়না হারবার প্রস্তাব করেছিল ১৬ হাজার ৩৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। পরবর্তিতে বিভিন্ন কারণে চায়না হারবারকে এ প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।